সর্বশেষ সংবাদ
রাজধানীর ধানমন্ডি সাত নম্বর বায়তুল আমান মসজিদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বাদ এশা রাজধানীর ধানমন্ডি ৭ নম্বর জামে মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা জানাজায় অংশ নিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, ডি-৮ সামিটে যোগদান শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কায়রো থেকে ১০ ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রা শেষে ঢাকায় ফিরে আসেন। বিমানবন্দরে নেমেই তিনি হাসান আরিফের মৃত্যুর খবর পান। শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হাসপাতালে ছুটে যান।
এরপর হাসান আরিফের জানাজায় অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা।
জানা গেছে, আগামীকাল শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় নামাজে জানাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ জোহর মিরপুরে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার মেয়ে কানাডায় আছেন। প্রথমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যে, তার জন্য অপেক্ষা করা হবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। আগামীকাল শনিবার বাদ জোহর দাফন সম্পন্ন হবে।
এর আগে শুক্রবার বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হাসান আরিফ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন হাসান আরিফ।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন হাসান আরিফ। ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এ ছাড়া ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন হাসান আরিফ।
১৯৪১ সালের ১০ জুলাই কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন হাসান আরিফ। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
১৯৬৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন। ১৯৭০ সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।