সর্বশেষ সংবাদ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংসদে আবারও উঠে এল জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার পরে এ বার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর মুখে শোনা গেল সেই কথা। এ বছর সাধারণ নির্বাচনে নতুন লোকসভা নির্বাচিত হওয়ার পর সংসদে এটি তার প্রথম ভাষণ। যৌথ অধিবেশনে লোকসভা ও রাজ্যসভার এমপিরা যোগ দেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় বিজেপি-সহ সরকার পক্ষের সাংসদদের উল্লাস করতে দেখা যায়। অন্য দিকে, বিরোধী বেঞ্চ থেকে ধেয়ে আসে প্রতিবাদ। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) লোকসভার যৌথ অধিবেশনের ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জারি হওয়া জরুরি অবস্থা ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকারতম অধ্যায়।’
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অভিযোগ, ‘সে দিনের ঘটনা ছিল সংবিধানের উপর সরাসরি, সবচেয়ে বড় আক্রমণ। গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করার এমন প্রচেষ্টা নিন্দনীয়।’ এর পরেই তাঁর ‘তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য’, ‘সে দিন জাতি ওই অসাংবিধানিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয়ী হয়েছিল।’ প্রায় ৫০ বছর আগেকার জরুরি অবস্থা নিয়ে গত তিন দিন ধরে কখনও সংসদের বাইরে, কখনও টুইট করে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বুধবার লোকসভায় দ্বিতীয়বার স্পিকারের দায়িত্ব পেয়েই ওম বিড়লা সরাসরি জরুরি অবস্থার সমালোচনা করে বিরোধীদের প্রতিবাদ সত্বেও সংসদের কার্যবিবরণীতে বিষয়টি নথিবদ্ধ করেন। এ নিয়ে নতুন লোকসভার প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনই হট্টগোল দেখে ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের জুন থেকে ১৯৭৭ এর মার্চ পর্যন্ত প্রায় দুই বছর জরুরি অবস্থা ছিল দেশে। ইন্দিরা গান্ধী জারি করেন জরুরি অবস্থা। সংবিধানের ৩৫২ অনুচ্ছেদের অধীনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ এই বিষয়ে সম্মত হন। দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঝুঁকি রয়েছে এই যুক্তিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল।