সর্বশেষ সংবাদ
আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) ভারতের শেয়ারবাজারে একটি বড় ধস নেমেছে, যা দেশটির অর্থনীতির জন্য এক বিশাল সংকটের সৃষ্টি করেছে। লেনদেন শুরু হওয়ার মাত্র ২০ সেকেন্ডের মধ্যে বাজারের মূলধন ২০ লাখ কোটি রুপি কমে গেছে। এই পতন শুধু ভারতের বাজারেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এশিয়ার অন্যান্য দেশের শেয়ারবাজারও বিপর্যস্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধসের জন্য মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ দায়ী।
বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এমন একটি ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ২ এপ্রিল ট্রাম্প তার শুল্কনীতির আওতায় ভারতের পাশাপাশি ৬০টি দেশের পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করেন। এর ফলস্বরূপ, ভারতের শেয়ারবাজারে সেনসেক্স সূচক ৪ হাজার পয়েন্ট পতন হয়েছে, যা মোটামুটি ৩ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। একই সময়ে, নিফটি সূচকও এক হাজার পয়েন্টের বেশি কমেছে।
এদিকে, সেনসেক্সভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টাটা স্টিল (-১০%), টাটা মোটরস (-৭.৮৬%), ইনফোসিস (-৬.৯৮%), টেক মাহিন্দ্রা (-৬.৩৬%) ও এলঅ্যান্ডটি (-৬.৪৫%)। তবে, কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজার। সেনসেক্সের পতনের পর, দুপুর ১টা নাগাদ পতনের পরিমাণ ৩ হাজার ২৭৮ পয়েন্টে নেমে আসে। যদিও এটি আগের তুলনায় কিছুটা উন্নতি হলেও, বাজার এখনও উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী বাজারে এমন পতন যে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে, তা স্পষ্ট। ২ এপ্রিল ট্রাম্পের ঘোষণায় শুল্ক বৃদ্ধির আশঙ্কায় অন্যান্য দেশের শেয়ারবাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মার্কিন শেয়ার সূচক নাসডাক ও ডাও জোন্সেও বড় পতন ঘটেছিল। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা বাড়তে পারে, যা বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের জন্য বিপদের সংকেত।
এই ধসের পর, সবার নজর এখন ভারতের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যৎ নীতির দিকে। আন্তর্জাতিক বাজারে যদি এই অস্থিরতা চলতে থাকে, তবে তা ভারতের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দেশের শেয়ারবাজারের ভবিষ্যৎ স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজন কৌশলী ও সঠিক পদক্ষেপের।