সর্বশেষ সংবাদ
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানের এক কূটনীতিককে ভারত বহিষ্কার করেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনার পর, ভারত পাকিস্তান সম্পর্কের মধ্যে আরও চ্যালেঞ্জ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত সরকার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই কূটনীতিককে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে, তবে সরাসরি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়নি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ওই কূটনীতিক তার দায়িত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন কিছু কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, তবে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এই বহিষ্কার ঘটনার পেছনে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর উত্থিত উত্তেজনা। গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসীরা ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করেছিল। এই হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে এবং একের পর এক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিন্ধু নদের পানি বণ্টন চুক্তি বাতিল ও পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করেছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে, এর মধ্যে আকাশসীমা বন্ধ করা এবং ভিসা বাতিল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই সংঘাতের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সেনা অভিযান পরিচালনা করেছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই অভিযানে ৭০ জন পাকিস্তানি নিহত হয়েছে, তবে পাকিস্তান দাবি করেছে নিহতের সংখ্যা ৩১ জন এবং আহত হয়েছে ৫৭ জন। ভারতের পরবর্তীতে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’ নামক অভিযান শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় ১০ মে থেকে, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মাঝে, যুদ্ধবিরতির ২ দিন পর সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, ভারত তার অভিযান স্থগিত রেখেছে, তবে যদি পাকিস্তান সীমান্তে কোনো উসকানিমূলক তৎপরতা চালায়, তবে ভারত আবার অভিযান শুরু করবে। এ পরিস্থিতি দুটি দেশের মধ্যে কূটনৈতিক এবং সামরিক উত্তেজনা বাড়ানোর পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি নজর দেয়ার এক বড় ইঙ্গিত। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা