সর্বশেষ সংবাদ
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় নেতাই নদী থেকে অবৈধভাবে রাতের আধাঁরে খননযন্ত্র (ড্রেজার মেশিন) দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উপজেলার রনসিংহপুর রাবারড্রাম এর আশেপাশে স্থানীয় আলমাস মিয়া ও মাজেদুল খানের বিরুদ্ধে বালু উত্তোলনের অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
বালু উত্তোলন করায় জনবসতি ও বেড়ীবাঁধ ভাঙনের ঝুঁকির মুখে পড়েছে। বালু উত্তোলন বন্ধে এলাকাবাসী একাধিকবার মানববন্ধন সহ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও আইনের তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলন অব্যহত রেখেছে এক শ্রেণির অসাধু চক্র। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রংসিংহপুর নেতাই নদী রাবার ড্রাম এলাকায় খননযন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করার জন্য ২ টি ড্রেজার বসানো রয়েছে।
এভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন হলে নদীতে নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিবে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। নেতাই নদীর রংসিংহপুর থেকে ঘোঁষগাও পর্যন্ত নদীর কুল ঘেষেঁ রাতদিন বিভিন্ন পন্থায় চলে বালু উত্তোলন। এতে করে উভয় পাড়ের গ্রাম গুলো এবং বেড়ীবাঁধ ভাঙনের ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, সরকারিভাবে বালু উত্তোলন নিষেধ তারা মানেনা নদীর কিনারা আমাদের বাড়ি সংলগ্ন নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন। বাধা দিলেও জোর করে বালু তোলা হচ্ছে। এমনকি বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা কারও কথা আমলে নেন না। এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। তবে এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে কয়েক দিন বালু উত্তোলন বন্ধ থাকে। পরে আবারও তাঁরা বালু তোলা শুরু করেন। এভাবে বালু উত্তোলন করলে ভবিষ্যতে আবাদি জমিসহ ঘরবাড়ি বেড়ীবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা করছে অনেকেই।
এ বিষয়ে মাজেদুল খানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, রাবারড্রামের মেরামতের স্বার্থে ড্রেজার বসানো হয়েছে, নদীর মাঝে বাঁধ দিয়ে রাবারড্রামের কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, নদীতে বাঁধ দিলে আমরা ঠিকমত পানি পাবনা, অতিরিক্ত টাকা লাগবে পানি নিলে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিনকে অবগত করা হলে তিনি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।