মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন ও দ্রুত নিয়োগের দাবিতে জাবিপ্রবিতে মানববন্ধন
প্রকাশিত: 06:20:11 am, 2025-05-07 |
দেখা হয়েছে: 5 বার।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন ও সৃজিত নতুন পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বক্তব্যের সময় বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন বক্তারা।
দুপুর ১টায় মাৎস্য বিভাগের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে মূল ফটকের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে রুকনুজ্জামান জিম বলেন,” সৃজিত পদগুলোতে দ্রুত জনবল নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কালক্ষেপণ কিংবা কাল দীর্ঘায়ন অনুচিত। “
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দেন, কামরুল হাসান, আরিফুর রহমান ও তাবাসসুম রাফি। বক্তারা তাদের বক্তব্যে দ্রুত জনবল নিয়োগে জোর প্রদান করেন।
ফিশারিজ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার বলেন,”পদগুলো যেহেতু আছে, সেহেতু দ্রুত নিয়োগ দেওয়ায় শ্রেয়।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,” ডিপার্টমেন্ট অফ ফিশারিজ, ও মৎস্য অধিদপ্তর মূলত এটি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। সেখান থেকে কাজ হলে, দ্রুত কাজ সম্পন্ন হবে।”
জাবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ও ফিশারিজ বিভাগের চেয়ারম্যান, ড. মোহাম্মদ সাদীকুর রহমান,তার বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের দাবির সহীত একত্ব পোষণ করেছে।
উল্লেখ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তর ২০১৫সালে “মৎস্য সম্প্রসারণ ও মাননিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা” ৩৯৫টি নতুন পদ সৃষ্টি ও অর্গানোগ্রাম সংশোধনের প্রস্তাবনা উত্থাপন করলেও বিগত দশ বছরেও এর বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৫সালের এপ্রিলে উপ-সচিব সফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রস্তাবনায় ৩৯৫টি নতুন পদসহ সর্বমোট ৬৩৭টি স্থায়ী পদ সৃজিত হয়। এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ অনুবিভাগের সম্মতি গ্রহণ করা হয়েছিলো এবং পদগুলোর বেতন স্কেল অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ কর্তৃক নির্ধারণ করার কথা বলা হয়। একই সাথে যাবতীয় ব্যয়ভার মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের সংশ্লিষ্ট খাত হতে মিটানো জন্য বলা হয়। এছাড়াও শর্তাদি হিসেবে বিসিএস (মৎস্য) কম্পোজিশন ও ক্যাডার রুলসে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা, যে সকল পদ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত নেই, সে সকল পদ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সৃজিত পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে ৩বছরে নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করতে বলা হয়। অথচ বিগত ১০বছরেও এর বাস্তবায়ন হয়নি। খুব দ্রুত নিয়োগবিধিতে এই ৩৯৫পদের অন্তর্ভুক্তি এবং অর্গানোগ্রামের বাস্তবায়ন জরুরি। শিক্ষার্থীদের দাবি নতুন পদ তৈরি করা নয় বরং আমরা চাই ২০১৫সালে সৃজনকৃত স্থায়ী ৬৩৭টি পদের অর্গানোগ্রামের বাস্তবায়ন।