সর্বশেষ সংবাদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একসময় বিএনপির আমলে বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রীকে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে প্যারিস কনসোর্টিয়ামে যেতে হতো। তাদের সময় বিশেষ করে উন্নয়ন বাজেটে বিদেশনির্ভরতা ছিল ৫০ শতাংশের বেশি। আজকে এটি ১৫-২০ শতাংশে নেমে এসেছে এবং আমরা বিশ্বব্যাংক থেকে শুরু করে অনেকের ঋণপ্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি, ফিরিয়ে দেই।
একইসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, সামগ্রিক ও বৈশ্বিক অর্থনীতির স্বার্থে কিছু বৈদেশিক ঋণ নিতে হয়। যেমন আমরা বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পার্টনার। সেখানে আমাদের জন্য বরাদ্দ থাকে। সেটি না নিলে ল্যাপস হয়ে যায়, এজন্য ক্ষেত্রবিশেষে নিতেও হয়।
বাজেটের সমালোচনাকে গতানুগতিক আখ্যা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবারই বাজেট প্রস্তাব ও পাসের পর একটি মহল বলে বাজেট উচ্চাভিলাষী, বাস্তবায়নযোগ্য নয়। অথচ গত ১৫ বছরে আমাদের প্রণীত বাজেট বাস্তবায়নের হার ৯২ থেকে ৯৬ শতাংশ। দেশ এগিয়ে গেছে, মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, দারিদ্র্য ৪১ থেকে ১৮.৫ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্য ২৫.৫ থেকে মাত্র ৫ শতাংশে নেমে এসেছে, গড় জিডিপি ভারতকে ছাড়িয়েছে এবং অনেক আগেই পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতি আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।
রোববার বিকালে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ‘টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা’ শ্লোগান সম্বলিত ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। বাজেটে বিদেশনির্ভরতা কতটুকু সে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।